শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা
বহুল আলোচিত জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ এর জন্য এখনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে শিক্ষানীতির আলোকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক এবং দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তর নির্ধারণ করায় শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে। প্রায় ২৬ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক কোনোভাবেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে রাজি নন। আবার কলেজের শিক্ষকরা চান না স্কুলশিক্ষকে পরিণত হতে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠদানকারী কলেজশিক্ষকরাও প্রভাষক পদ হারাতে রাজি নন। সূত্রমতে, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে অনেক কলেজের অস্তিত্বও এখন হুমকির মুখে। দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানকারী কলেজ প্রধানদের পদবি অধ্যক্ষ। নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হলে তারা প্রধান শিক্ষক হিসেবে অভিহিত হবেন। এটা তারা মেনে নিতে পারছেন না। কেননা অধ্যক্ষ আর প্রধান শিক্ষকের পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল এক নয়। একইভাবে প্রভাষক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকের বেতন স্কেলও এক নয়। জানা গেছে, বর্তমানে সারা দেশে আট হাজার ‘ইন্টারমিডিয়েট কলেজ’ রয়েছে। এর অধ্যক্ষদের বেতন স্কেল ২২ হাজার ৫০০ টাকা। দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তর হয়ে গেলে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে ১৫ হাজার টাকার স্কেলে বেতন নিতে হবে। একইভাবে প্রভাষকরা ১১ হাজার টাকার স্কেল থেকে স্কুলশিক্ষকের ছয় হাজার ৮০০ টাকার স্কেলে নেমে আসবেন।